১। বিবিএফ অফিস কোথায় ও যোগাযোগের ঠিকানা ? / Where are you located?

উত্তরঃ আমাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে ০১৯৫৬-৬৬৯২৮৪ নম্বরে ফোন করুন অথবা ফেসবুক ম্যাসেন্জারের মাধ্যমে আপনার প্রশ্নটি পাঠান ।

অফিস ঠিকানা ও মাতৃদুগ্ধদান ব্যাবস্থাপনা কেন্দ্র –
আইপিএইচ ভবন (নিচতলা) রুম: ১৯৫-২০১,মহাখালী ,ঢাকা -১২১২

IPH Building(Ground Floor),Room no.-195-201,Mohakhali,Dhaka-1212

২। বিবিএফ থেকে কি কি সেবা দেয়া হয় ?এবং কখন / What services do BBF offer? When ?

উত্তরঃ এখানে মা ও শিশু পুষ্টি ও স্বাস্থ্য বিষয়ক ও কিশোরী পুষ্টি  বিষয়ক পরামর্শ , অনলাইন ভিডিও কাউন্সেলিং ,ল্যাকটেশন ম্যানেজমেন্ট (ওকেতানি,এটাচমেন্ট ও পজিশন,রিল্যাকটেশন কৌশল,গুড়াদুধে অভ্যস্ত শিশুকে পুনরায় মায়ের দুধ খাওয়ানো অভ্যস্তকরণ ইত্যাদি )সেবা দেয়া হয় ।

সময়- সকাল ৯টা- বিকাল ৫ টা

মাতৃদুগ্ধদান ব্যাবস্থাপনা ( শনি –বৃহ:)

অনলাইন ভিডিও কাউন্সেলিং বা পরামর্শ,( শনি -বৃহ: )শুক্রবার ও সরকারী ছুটির দিন বন্ধ থাকে ।

৩। এপয়েন্টমেন্ট কিভাবে নিতে হবে ? How I take appointment?

উত্তরঃএপয়েন্টমেন্ট নিতে চাইলে বিবিএফ ফেসবুক পেজ থেকে অবশ্যই মোবাইল নম্বরসহ এপয়েন্টমেন্ট রিকোয়েস্ট পাঠান । অনলাইন ভিডিও কাউন্সেলিং নিতে চাইলে ভিডিও কল করা যাবে এমন WhatsApp /messenger এর number পাঠান

৪ । এপয়েন্টমেন্ট কিভাবে নিব বুঝতে পারছি না ?

উত্তরঃআমাদের অফিস সময় (সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টার )(রবি-বৃহঃ) মধ্যে আপনার সুবিধাজনক তারিখ ও সময় ,মোবাইল নম্বর উল্লেখ করে ম্যাসেজ দিন ,আমরা আপনার এপয়েন্টমেন্ট সেট করে দিব ।এপয়েন্টমেন্ট রিকোয়েষ্ট কার্যক্রম যেকোন সময় করতে পারেন

৫। জন্মের সাথে সাথে শিশুকে মায়ের দুধ না দিলে শিশু ও মায়ের ঝুঁকিসমূহ ?

উত্তরঃ মায়ের দুধ না দেওয়ার ঝুঁকি-
নবজাতক শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে। বিভিন্ন সমীক্ষা থেকে দেখা গেছে, জন্মের পর পরই মায়ের দুধ দিলে ৫ টি শিশু মৃত্যুর মধ্যে ১ টি নবজাতকের মৃত্যু কমানো সম্ভব।

৬। জন্মের সাথে সাথে শিশুকে মায়ের দুধ দেওয়ার বাধা বা প্রতিবন্ধকতা?

উত্তরঃ মায়ের ক্ষেত্রে বাধা-
– জন্মের সাথে সাথে শিশুকে মায়ের দুধ দেওয়ার ব্যাপারে মায়ের ও তার পরিবারের সচেতনতার অভাব
– মায়ের দুধ দেওয়ার ব্যাপারে শিশুকে মায়ের বুকে দিতে সাহায্য ও সহযোগিতার অভাব
শিশুর ক্ষেত্রে বাধা-
– কম ওজনের শিশু ঠিক মতো দুধ চুষতে পারে না
– অনেক সময় শিশু অসুস্থ থাকে
– শিশুর নিঃশ্বাসের সমস্যা থাকে

সহযোগিতার অভাব এবং ভুল ধারণা/বাধা-

সিজারিয়ান সেকশনের পর সাথে সাথে মায়ের দুধ দেওয়া যাবে না এমন ভুল ধারণা
প্রসবের পর শিশু ও মাকে গোসল করানোর কারণে ও মায়ের দুধ শুরু করতে দেরি
পরিবারের বয়স্করা অনেক ক্ষেত্রে শিশুকে শালদুধ দিতে নিষেধ করেন, তাদের ধারণা এটা দেখতে খারাপ এবং এতে শিশুর পেটের অসুখ হবে এবং তারা শিশুর মুখে পানি, মধু বা অন্য কিছু দিতে বলেন

৭। শিশুর জন্মের কতক্ষণের মধ্যে মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে?

উত্তরঃজন্মের পরপরই (অবশ্যই ১ ঘন্টার মধ্যে) শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে।
শিশুর জন্য মায়ের দুধের কোনো বিকল্প নেই। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, জন্মের ১ ঘন্টার মধ্যে শিশুকে শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়ালে ৩১ শতাংশ নবজাতক মৃত্যু কমানো যায়।১ তাই জন্মের সাথে সাথে (১ ঘন্টার মধ্যেই) শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো শুরু করতে হবে। শিশু জন্মের পর প্রথম ১ ঘন্টা সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ

কেননা

১. জন্মের পর প্রথম ১ ঘন্টা শিশুর চোষণ ক্ষমতা খুবই সক্রিয় এবং স্পর্শকাতর থাকে ফলে শিশু সক্রিয়ভাবে মায়ের দুধ চুষতে পারে।
২. এজন্য এসময় অবস্থান (Position) ও সংস্থাপন (Attachment) ঠিক রেখে শিশু যত বেশী মায়ের দুধ
চুষবে তত তাড়াতাড়ি মায়ের বুকে দুধ আসবে।

৮। শালদুধ কি এবং শালদুধ খাওয়ানোর উপকারিতা ?
উত্তরঃ

শালদুধঃ সন্তান প্রসবের পর মায়ের স্তনে প্রথম যে দুধ আসে তাকে শালদুধ বলে। শালদুধ হালকা হলুদ বর্ণের, ঘন আঠালো এবং পরিমাণে কম।

শালদুধ খাওয়ানোর উপকারিতা
উত্তরঃ শিশু প্রথম খাবার হিসাবে শালদুধ গ্রহণ সর্বোত্তম খাদ্য যার বিকল্প কোন খাবার নাই।
১. শালদুধ রোগ প্রতিরোধকারী জীবন্ত কোষ, এন্টিবডি ও অন্যান্য রোগপ্রতিরোধকারী আমিষ সমৃদ্ধ। এটি শিশুর প্রথম টিকা হিসাবে কাজ করে। শাল দুধ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও বিভিন্ন সংক্রামক রোগ থেকে শিশুকে দ্রুত রক্ষা করে।
২. এতে আছে প্রচুর আমিষ, ভিটামিন (যেমন: এ, বি, সি, ডি, কে ইত্যাদি) ও খনিজ লবন (যেমন: আয়রন,ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ইত্যাদি)। আরো রয়েছে আই জি-এ  নামক এক ধরনের Immunoglobulin যা রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে।
৩. শালদুধ শিশুর পরিপাকতন্ত্রকে উদ্দীপ্ত করে যাতে করে অন্ত্র থেকে দ্রুত শিশুর প্রথম কালো পায়খানা(মেকোনিয়াম) বের হয়ে যায়। ফলে শিশুর জন্ডিসের আশংকা কমে যায়।স্বাভাবিকভাবে বা অস্ত্রপচারে মাধ্যমে যেভাবেই শিশু জন্মগ্রহণ করুক না কেন, শিশুকে অবস্থান (Position) ও সংস্থাপন (attachment) ঠিক রেখে বার বার মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে।

৯। শালদুধ পরিমাণে কম হলেও কি তা শিশুর পেট ভরার জন্য যথেষ্ট?

উত্তরঃ শালদুধ পরিমাণে কম হলেও উচ্চ পুষ্টিমান সম্পন্ন হওয়ায় শিশু জন্মের প্রথম ৩ দিনের জন্য শালদুধই যথেষ্ট। কেননা জন্মের পর থেকে ২ দিন পর্যন্ত শিশুর পাকস্থলীর আকার থাকে ১ টা ছোট মার্বেলের মত। এইজন্য এই ২ দিন ১ চা চামচ (৫ মিলি লিটার) শালদুধ হলেই তা শিশুর পুষ্টির জন্য যথেষ্ট। জন্মের পর পর শিশুকে শালদুধ খাওয়ালে তা মায়ের গর্ভফুল পড়তে সাহায্য করে ফলে মায়ের রক্তক্ষরণ কম হয় এবং মা রক্তস্বল্পতা থেকে রক্ষা পায়। জন্মের পর শিশুর শরীরে  পানি থাকে। এক ফোঁটা ঘন শালদুধ শিশুর পাকস্থলীতে পাচক রসের সাথে মিশে পরিমাণে বেশী হয় । তাই কয়েক ফোঁটা শালদুধই পরিমাণ পুষ্টির দিক থেকে যথেষ্ট।

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন….https://www.facebook.com/Breast.Feeding.Foundation/photos/3449769061809860(4) Facebook

১০। শিশুকে মায়ের দুধের পরিবর্তে গুঁড়া দুধ ও কৃত্রিম শিশুখাদ্য খাওয়ানোর কুফল কি?
উত্তরঃ IBFAN ২০১৩ অনুযায়ী শিশুকে বুকের দুধ না খাওয়ালে-
১. নিউমোনিয়াজনিত মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ১৫% বৃদ্ধি পায়
২. ডায়রিয়ায় মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ১১% বৃদ্ধি পায়
৩. শিশুদের অপুষ্টি ও অন্যান্য কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ১৪% বৃদ্ধি পায়।
৪. জন্ডিস, কান পাকা ও পরিপাকতন্ত্রের সংক্রমণসহ ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
৫. শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হয়।
৬. বয়সের তুলনায় ওজন বৃদ্ধি পায়।
৭. দীর্ঘস্থায়ী রোগের (ডায়াবেটিস, হƒদরোগ, স্থ‚লতা) ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
৮. শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

১১। মায়ের দুধ চেপে/গেলে বের করে রাখার প্রয়োজনীয়তা ও পদ্ধতি?

উত্তরঃ

১২। মায়ের দুধের পরিমাণ বৃদ্ধিতে করণীয় কী? 

উত্তরঃআপনি ওকেতানি ম্যাসাজ নিতে পারেন আমাদের বিবিএফএর মহাখালিতে অবস্থিত ল্যাকটেশন ম্যানেজমেন্ট সেন্টারে । +880 1956-669284 হট লাইন নাম্বারে যোগাযোগ করুন । আপনি চাইলে ফ্রি অনলাইন কাউন্সেলিং নিতে পারেন এপয়েনমেন্ট এর মাধ্যমে।

 
উত্তরঃ শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে মায়ের দুধ খাওয়াতে হলে প্রথম ধাপ হচ্ছে মা ও শিশুর সঠিক অবস্থান এবং মায়ের বুকে শিশুর সংস্থাপন নিশ্চিত করা। মায়ের প্রথম ভাগে দুধে শর্করা আমিষ, ভিটামিন মিনারেলস, চর্বির তুলনায় পানির পরিমান অনেক বেশি থাকে। আর কিছুক্ষণ ১০-১৫ মিনিট (তবে এটি শিশুদের চোষার উপরে নির্ভর করে, অনেক শিশু জোরে চোষে আবার অনেক শিশু আস্তে চোষে) চোষার পরে যে দুধটা আসে সেটাকে হাইন্ড ম্লিক বলে যাতে শর্করা আমিষ, ভিটামিন, মিনারেলস এর সাথে চর্বির পরিমান অনেক অনেক বেশি থাকে।
শেষের দিকের দুধ দেখতে সাদা ও ঘন হয় কারণ এতে অনেক চর্বি থাকে। এই চর্বি মায়ের দুধের বেশীর ভাগ শক্তি সরবরাহ করে। যা শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। এই জন্যই শিশুকে দুধ খাওয়ানোর সময় তাড়াতাড়ি ছাড়িয়ে না নিয়ে পরিপূর্ণভাবে একটি দুধ খাওয়ানো শেষ করতে হয় যাতে সে সবটুকু চর্বি পায়। শিশুকে যখন যে স্তনের দুধ খাওয়ানো হবে তা সর্ম্পূণ শেষ করে খাওয়াতে হবে।  বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন…(5) Facebookনবজাতক, শিশু, গর্ভবতী, প্রসূতি মা এবং কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টিগত অবস্থার উন্নতিতে করণীয় বিষয়সমূহ বিস্তারিত জানতে আমাদের হটলাইন নাম্বারে কল করুন অথবা ক্লিক করুন
www.facebook.com/Breast.Feeding.Foundation

 
 
 
উত্তরঃ শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর ব্যাপারে মায়েরা বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হন। সাধারণত শিশুর জন্মের ৩-৫ দিনের মধ্যে এই সমস্যা গুলো দেখা দেয়।
শিশুকে দুধ খাওয়ানো চলাকালীন সময়ে প্রধান সমস্যা সমূহ :
১. স্তন ফুলে শক্ত হয়ে যাওয়া।
২. যথেষ্ট পরিমাণে দুধ তৈরি না হওয়ার ধারণা।
৩. দুধের নালী বন্ধ হয়ে ম্যাসটাইটিস হয়ে যাওয়া।
৪. স্তন ফেটে যাওয়া বা ঘা হয়ে যাওয়া।
৫. স্তনের বোঁটা সমতল এবং ভিতরে ঢুকে যাওয়া।
এছাড়া শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়াতে যে কোন সমস্যায় আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন
 

১৫। ওকেতানি ম্যাসাজ কি?

উত্তরঃ ওকেতানি ম্যাসাজ একটি বিশেষ ব্রেস্ট ম্যাসাজ যার মাধ্যমে স্তনের এবং মায়ের দুধ খাওয়াতে সৃষ্ট সকল সমস্যার সমাধান করা যায়।

১৬। ওকেতানি পদ্ধতির গুরুত্ব কি?
উত্তরঃ প্রতিটি মা ওকেতানি পদ্ধতির মাধ্যমে বিশেষ পরিস্থিতিতেও তার শিশুকে সফল ভাবে মাতৃদুগ্ধ পান করাতে পারেন। ওকেতানি ম্যাসাজের পর মায়ের দুধের পরিমাণ ও গুণগত মান বৃদ্ধি পায়,এটি স্তনের বোঁটার চারপাশের গোলাকার কালো অংশ ও স্তনের বোটা শিশুর চোষার উপযোগী করে তোলে, ফলে শিশু সহজেই স্তন চুষে খেতে পারে। ওকেতানি ম্যাসাজ মাতৃদুগ্ধদানে মায়েদের আত্মবিশ্বাস তৈরি করে। বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন..(4) Bangladesh Breastfeeding Foundation | Facebook

১৭। শিশু ঠিকমত দুধ পাচ্ছে কিনা বোঝার উপায়?

উত্তরঃ

১) দিনে কমপক্ষে ৬ বার প্রস্রাব করছে কিনা

২) মাসে কমপক্ষে গড়ে ৫০০ গ্রাম ওজন বাড়ছে কিনা

৩) দিনে-রাতে ৮-১২ বার বুকের দুধ খায় কিনা

৪) শিশু হাশিখুশি থাকে কিনা

শিশুকে স্তনের প্রথম দিকের দুধ (প্রথম ১০ মিনিট যে দুধ আসে – পানির পরিমাণ বেশী অন্যান্য পুষ্টি উপাদান কম থাকে ) তাকে প্রথম দিকের দুধ বলে । প্রথম দিকের দুধ শেষ হওয়ার পর ১০ মনিটের পর যে দুধ আসে তাতে প্রচুর পরিমাণ চর্বি ,আমিষ থাকে যা শিশুর ওজন বাড়ে ,ক্ষুধা মেটায় তাকে শেষের দিকের দুধ বলে । তাই একটাপাশের স্তনের পুরো দুধ শিশুকে খাওয়াতে হবে । এছাড়া সঠিক অবস্থান সংস্থাপন ঠিক করে মায়ের দুধ খাওয়ালে শিশু বেশী দুধ পাবে ।

মা , শিশু পুষ্টি ও স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ , ফ্রি অনলাইন ভিডিও কাউন্সেলিং বা পরামর্শ, মাত্দুগ্ধদান ব্যাবস্থাপনা বিষয়ে সেবা দেয়া হয় সময়- সকাল ৯- বিকাল ৫ টা মাত্দুগ্ধদান ব্যাবস্থাপনা ( শনি –বৃহ:) অনলাইন ভিডিও কাউন্সেলিং বা পরামর্শ,( শনি-বৃহ: ) এপয়েন্টমেন্ট নিতে চাইলে ফেসবুক পেজে এপয়েন্টমেন্ট রিকোয়েস্ট পাঠান ।

১৮। শিশুকে দুধ খাওয়ানোর সময় কী কী বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত?

উত্তরঃসঠিক অবস্থান ও সংস্থাপন ( স্তনের বোঁটার চারপাশের কালো অংশ শিশুর মুখে থাকতে হবে ) করে দুধ খাওয়ালে গ্যাস কমে যাবে ।শিশুকে ধৈর্য ধরে সময় নিয়ে খাওয়াতে হবে । দুধ খাওয়ানোর জন্য নিরিবিলি পরিবেশ বাছাই করুন । কোলাহল মুক্ত জায়গায় বসে শান্তভাবে দুধদানের চেষ্টা করুন । দুধ খাওয়ানোর সময় শিশুর সাথে গল্প করুন,মাথায় আস্তে আস্তে হাত বুলাতে পারেন । দোলনা বা রকিং চেয়ারে বসে দুলে দুলে শিশুকে দুধ খাওয়ালেও আপনার শিশু দুলনীর তালে তালে নিয়মিত চুষতে থাকবে । শিশুর থুতনরি নিচে হাত দিয়ে ধরে রাখতে পারেন । আপনি গলায় রংবেরংয়ের (কার্টুন ,ফুল জাতীয়) কিছু পড়তে পাড়েন শিশুকে দুধ খাওয়ানোতে আকৃষ্ট করার জন্য । খেয়াল করুন আপনার দুধদানের অবস্থান সংস্থাপন ঠিক আছে কিনা । এটি ভুল হলেও শিশুর দুধ খাওয়ার সময় ভালভাবে শ্বাস নিতে পারে না/ আরাম পায়না /ঘাড় ব্যাথা করে, সেই সাথে কম দুধ পায় এবং খাওয়ার আগ্রহ কমে যায় ।

১৯। কোন কারণে শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো বন্ধ হয়ে গেলে পুনরায় কি তাকে মায়ের দুধ খাওয়ানো শুরু করা যায়?

উত্তরঃ  জি যাবে । কোন কারণে মায়ের দুধ খাওয়ানো বন্ধ হয়ে গেলে পুনরায় যদি মায়ের দুধ খাওয়ানো শুরু করা হয় তাকে পুনরায় মাতৃদুগ্ধদান বা Re-lactation বলে।

যে সব ক্ষেত্রে পুনরায় মাতৃদুগ্ধদানের প্রয়োজন

১. মা অসুস্থ হলে অথবা শিশুকে মায়ের দুধ পান করানো বন্ধ রাখলে।
২. কোন কারণে নবজাতককে অন্য কোন খাবারে অভ্যস্ত করানো হলে।
৩. শিশু কোন কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে অথবা কিছু সময়ের জন্য দুধ টানতে অক্ষম হয়ে পড়লে অথবা মায়ের দুধ উৎপাদন হ্রাস পেলে।
৪. খুবই অপরিণত নবজাতককে শুরুতেই অথবা কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত মায়ের দুধ চুষে না খেতে পারলে।
৫. যে শিশু বোতলের দুধ পান করে তাদের মায়ের দুধ পান করাতে হলে।

২০। বয়স অনুযায়ী শিশুর দৈনিক মোট শক্তি চাহিদা পূরণে ঘরে তৈরি পরিপূরক(বাড়তি) খাবার কি ধরণের ও কতবার দেওয়া উচিৎ ?

উত্তরঃ শিশু জন্মের পর থেকে ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের দুধ পান করবে এবং ৬ মাস বয়সের পর থেকে মায়ের দুধের পাশাপশি ঘরে তৈরি পরিপূরক পুষ্টিকর খাবার খাবে। শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যের উন্নয়ন বজায় রাখার জন্য অতিরিক্ত শক্তি (ক্যালরি) এবং পুষ্টি সরবরাহ হয় ঘরে তৈরি পরিপূরক (বাড়তি) খাবার থেকে যা মায়ের দুধ দ্বারা পূরণ হয় না। ঘরে তৈরি খাবারের উপর ভিত্তি করে শিশুদের নতুন স্বাদ এবং টেক্সচার পছন্দ করার সুযোগ সৃষ্টি হয় । শিশুর বয়স অনুযায়ী সঠিকভাবে দৈহিক ওজন ও উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য শিশুকে সঠিক সময়ে সঠিক পরিমাণে সঠিক ধরণের খাবার খাওয়ানো খুবই জরুরী। তাই শিশুকে ৬ মাস বয়সের পর থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি পরিপূরক খাবার দিন, শিশুর সঠিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করুন।
শিশুদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টিগত অবস্থার উন্নতিতে করণীয় বিষয়সমূহ বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-

Facebook   https://www.facebook.com/Breast.Feeding.Foundation/photos/4175219772598115

২১। আমার শিশুর ওজন (…..) কেজি ও উচ্চতা (…..)সেমি। ও  কি ঠিকমত বাড়ছে?

উত্তরঃ

(5) Facebook

(5) Facebook

(5) Facebook

(5) Facebook

২২শিশু না খেতে চাইলে করণীয় কী?

উত্তরঃ জোর করে শিশুকে খাওয়ানো যাবে না । শিশুকে ধৈর্য ধরে সময় নিয়ে খাওয়াতে হবে। শিশুর মুখে তুলে দেয়া প্রতি চামুচ খাবার হতে হবে সমন্বিত (কমপক্ষে ৫টি খাদ্য উপাদান -শর্করা, আমিষ,তেল, বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ)  ,পুষ্টিকর , মুখরোচক ,ও দেখতে সুন্দর । লক্ষ্য করুন শিশুর পছন্দের খাবার । শিশুর সামনে ৪ বা ৫ ধরনের খাবার সুন্দর ,আকর্ষণীয় থালা বা বাটিতে পরিবেশন করুন । তাকে নিজে হাতে খেতে দিন মাঝেমাঝে । ফলমূল টুকরো করে খেতে দিন ,মাছ/মাংসের চপ সবজিসহ বানিয়ে শিশুর হাতে খেতে দিন । গল্প করে খাওয়াতে হবে । অন্য শিশুদের সাথে ,পরিবারের সবার সাথে খেতে দিলেও শিশুর খাওয়ার আগ্রহ বাড়ে । একেক দিন শিশুকে একক রকম খাবার দিন ।

২৩। শিশুদের কি  ‍কি ঘরের তৈরি পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো উচিত?

উত্তরঃ

bangladesh breastfeeding foundation – YouTube

শিশুদের পুষ্টিকর খাবার রেসিপির লিংক উপরে দেয়া হয়েছে ।

২৪। শিশুর রক্তশূণ্যতা প্রতিরোধে করণীয় কী ?

উত্তরঃ শিশুর রক্তস্বল্পতার জন্য প্রতিদিন ১টা ডিম খাওয়ান, খাসির কলিজা, মুরগীর কলিজা ভালো করে সিদ্ধ করে খিচুড়ির সাথে বা ঘন ডালের সাথে মিশিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা করেন অন্তত সপ্তাহে ৪ বার। ডালিম, লাল শাক ইত্যাদি খাওয়ান। এগুলো রক্তস্বল্পতা থেকে মুক্ত করতে সহায়তা করবে।

২৫। শিশুর এলার্জী  হলে কি ধরণের খাদ্য নিবাচন করা উচিত?

উত্তরঃযে খাবার টিতে শিশুর এলার্জী হয় সেই খাবার গুলো আপাতত না দেওয়াই ভালে। আপনার শিশুকে ডিম সুজি, চিরার পোলাও, সবগজ পিঠা ইত্যাদি খাবার দিয়ে দেখতে পারেন বিস্তারিত খাদ্য রান্নার নিয়ম bangladesh breastfeeding foundation – YouTube