Deprecated: Creation of dynamic property MPC_WC_Grid_Products::$default_atts is deprecated in /home1/bbforgbd/public_html/wp-content/plugins/mpc-massive/shortcodes/mpc_wc_grid_products/mpc_wc_grid_products.php on line 27

Notice: Function wp_enqueue_script was called incorrectly. Scripts and styles should not be registered or enqueued until the wp_enqueue_scripts, admin_enqueue_scripts, or login_enqueue_scripts hooks. This notice was triggered by the nfd_wpnavbar_setting handle. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 3.3.0.) in /home1/bbforgbd/public_html/wp-includes/functions.php on line 6078

Warning: Trying to access array offset on value of type null in /home1/bbforgbd/public_html/wp-content/themes/churchwp/functions.php on line 17

Warning: Trying to access array offset on value of type null in /home1/bbforgbd/public_html/wp-content/themes/churchwp/functions.php on line 17

Warning: Trying to access array offset on value of type null in /home1/bbforgbd/public_html/wp-content/themes/churchwp/functions.php on line 17

Warning: Trying to access array offset on value of type null in /home1/bbforgbd/public_html/wp-content/themes/churchwp/functions.php on line 17

Warning: Trying to access array offset on value of type null in /home1/bbforgbd/public_html/wp-content/themes/churchwp/functions.php on line 17

Warning: Trying to access array offset on value of type null in /home1/bbforgbd/public_html/wp-content/themes/churchwp/functions.php on line 17

Notice: Function WP_Scripts::localize was called incorrectly. The $l10n parameter must be an array. To pass arbitrary data to scripts, use the wp_add_inline_script() function instead. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 5.7.0.) in /home1/bbforgbd/public_html/wp-includes/functions.php on line 6078

Notice: Function WP_Scripts::localize was called incorrectly. The $l10n parameter must be an array. To pass arbitrary data to scripts, use the wp_add_inline_script() function instead. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 5.7.0.) in /home1/bbforgbd/public_html/wp-includes/functions.php on line 6078

Notice: Function WP_Scripts::localize was called incorrectly. The $l10n parameter must be an array. To pass arbitrary data to scripts, use the wp_add_inline_script() function instead. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 5.7.0.) in /home1/bbforgbd/public_html/wp-includes/functions.php on line 6078

Notice: Function WP_Scripts::localize was called incorrectly. The $l10n parameter must be an array. To pass arbitrary data to scripts, use the wp_add_inline_script() function instead. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 5.7.0.) in /home1/bbforgbd/public_html/wp-includes/functions.php on line 6078
bbf, Author at Bangladesh Breastfeeding Foundation Warning: Trying to access array offset on value of type null in /home1/bbforgbd/public_html/wp-content/themes/churchwp/inc/custom-functions.header.php on line 163

Warning: Trying to access array offset on value of type null in /home1/bbforgbd/public_html/wp-content/themes/churchwp/inc/custom-functions.header.php on line 200
class="archive author author-bbf author-1 theme-churchwp woocommerce-no-js header1 wpb-js-composer js-comp-ver-7.5 vc_responsive">

Warning: Trying to access array offset on value of type null in /home1/bbforgbd/public_html/wp-content/themes/churchwp/functions.php on line 327

Author: bbf

শিশুর পেটে ব্যাথা

নবজাতক শিশুর পেটব্যাথা একটি সাধারন ঘটনা যা শিশুর জন্য অস্বস্তি , পীড়াদায়ক এবং অতিরিক্ত কান্নার কারণ।(১) শিশু জীবনের প্রথম ৩ মাস নিয়মিত চিৎকার করে যা প্রায় বিকালের দিকেই হয় এবং কান্নার কারন বোঝা যায় না। পেটের ব্যাথা বুঝা যায় ৩টি লক্ষণ দ্বারা-

দিনে ৩ ঘন্টার বেশি সময় কান্না, সপ্তাহে ৩দিনের বেশি সময় কান্না, এবং ৩ সপ্তাহের বেশি সময় পর্যন্ত কান্না কিন্ত শিশুর পেট পরিপূর্ণ এবং শিশু সুস্থ থাকে।(২) সাধারনত দেখা যায় যে, পেট ব্যাথার কান্না ৬ সপ্তাহ বয়সের শিশু থেকে ৬ মাস বয়সের শিশুর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।(১)  পেটের ব্যাথার শিশু এবং স্বাভাবিক শিশুদের কান্নার ধরন একই হয়ে থাকে। তবে পেটের ব্যাথার শিশু একবার কান্না শুরু করলে সহজে শান্ত হয় না এবং দীর্ঘ সময় যাবৎ কাদতে থাকে। এটি দীর্ঘকালীন কোনো সমস্যা সৃষ্টি করে না।(২)সাধারনত ১০-৪০% বাচ্চার মধ্যে এই সমস্যা দেখা যায়।(৩) কৌটার দুধ পানকারী এবং মায়ের দুধ পানকারী উভয় প্রকার শিশুরই পেটে ব্যাথা হতে দেখা যায়।

লক্ষণ:

কারন:

শিশুর পেটের ব্যাথার কারন জানা যায় না। শিশুদেরকে যখন দুধ খাওয়ানো হয় তখন গরুর দুধের প্রোটিনের বিরূদ্ধে এন্টিবডি কাজ করে যা পেটের ব্যাথার কারন।(২) বাচ্চাকে ১ম স্তন পানের সময় কমিয়ে ২য় স্তন পানে উৎসাহী করা হয়, যাতে মায়ের দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।(৫) এতে শিশুর পেটের ধারন ক্ষমতা অনুযায়ী পর্যাপ্ত ক্যালরি গ্রহন করতে পারে না, যেখানে ফোর মিল্ক ( শুরুর দিকের পাতলা দুধ) হাইন্ড মিল্কের (শেষের দিকের ঘন দুধ) তুলনায় কম ক্যালরি সম্পন্ন।(৫) এর ফলসরূপ শিশুর ক্ষুধার্ত হওয়ার লক্ষণ দেখা যায়।(৫) খাবারে চর্বির পরিমান কম হওয়ায় পেট দ্রæত খালি হয়ে যায়। এক্ষেত্রে ল্যাকটোজের ঘনত্ব বেশি থাকায় ল্যাকটোজের হজম কমে যায় ফলে ডায়রিয়া দেখা দেয়।(৫) চিকিৎসকের মতে, বাচ্চাকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর সময় পজিশন এবং এটাচমেন্ট ঠিক না হলে বাচ্চার পেটে ব্যাথা হয় যা বাচ্চার কান্নার কারন। গ্যাস্ট্রোইসোফেগাল রিফ্লাক্স (খাবার পাকস্থলি থেকে উপরের দিকে খাদ্যনালীতে উঠে আসা) এর ফলে পেটে ব্যাথা দেখা দেয়। হাইপারপেরিস্ট্যালসিস (বাচ্চার পাকস্থলিতে অতি দ্রুত খাবার প্রবেশ করা) এর কারনে পেটে ব্যাথার সূচনা হয়।(২) শিশুর জন্মের পর থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত পাকস্থলি অপরিণত থাকে যার ফলে তাদের বিভিন্ন ধরনের পাকস্থলির সমস্যা দেখা দেয়। পাকস্থলির সমস্যা গুলোর মধ্যে পেটে ব্যাথা অন্যতম। পাকস্থলির হরমোন যেমন মলিটিন ব্যাথা হওয়ার অন্যতম কারন।(২) ধারনা করা হয় মলিটিন হাইপারপেরিস্ট্যালসিসের (বাচ্চার পাকস্থলিতে অতি দ্রুত খাবার প্রবেশ করা) কারন যা পেট ব্যাথা ঘটায়।(২) একটি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে যে, স্নায়ুবিক (নিউরোজেনিক), হজমের গোলযোগ (গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল), জীবানুঘটিত (মাইক্রোবিয়াল) এবং মানসিক (সাইকোসোশাল) উপসর্গ গুলি শিশুর ব্যাথা হওয়ায় অসুস্থতার কারণ হচ্ছে।(১)

সমাধান:

  • শিশুর পেটব্যাথা দেখা দিলে সাধারনত খাবারে কোনো পরিবর্তন আনার প্রয়োজন হয় না, বিশেষত যে বাচ্চারা মায়ের দুধ পান করে।(১)
  • মাতৃদুগ্ধ পানকারী শিশুর মাতৃদুগ্ধ দেয়া বন্ধ করা যাবে না।
  • একটি স্তন সম্পূর্ণ খালি করে খাওয়াতে হবে, তারপর অপর স্তনটি খাওয়াতে হবে।
  • পজিশন এবং এটাচমেন্ট ঠিক রেখে বাচ্চাকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।
  • বাচ্চাকে কৌটার দুধ খাওয়ালে তা বন্ধ করে দিয়ে বেশি করে মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে।
  • আঁশ খাবার পরিপূরক হিসেবে ব্যবহার করে কোনো ফল পাওয়া যায় না।(১,৪)
  • গবেষণায় দেখা গেছে যে h Lactobacillus reuteri নামক প্রোবায়োটিক ব্যবহারে শিশুর কান্নার  সময় কমে আসে এবং মায়ের বিষন্নতাও কমে যায়।
  • বাচ্চার মাথার দিকটা উচু করে খাওয়াতে হবে এবং খাওয়ানোর সাথে সাথে না শুর্য়িয়ে ঘাড়ের উপর নিয়ে পিঠে চাপড় দিয়ে ঢেকুর (Burping) তুলে দিতে হবে।
  • শিশুর পেটে গ্যাস আটকে গেলে শিশুকে পিঠে ভর দিয়ে শুয়িয়ে দিতে হবে এবং পেটে আলতভাবে হাতের তালু দিয়ে মালিশ করতে হবে ঠান্ডা গরম শেক দিতে হবে।
  • শিশুর পা দুটি একবার সামনের দিকে এবং আরেকবার পিছনের দিকে সাইকেল চালানোর মতো করে পা নাড়াতে হবে।

References

  1. Zeevenhooven, J., Browne, P.D., L’Hoir, M.P. et al. Infant colic: mechanisms and management. Nat Rev Gastroenterol Hepatol 15, 479–496 (2018). https://doi.org/10.1038/s41575-018-0008-7
  2. DONNA M. ROBERTS, M.D., MICHAEL OSTAPCHUK, M.D., and JAMES G. O’BRIEN, M.D., Infantile colic; University of Louisville School of Medicine, Louisville, Kentucky American Family Physician. 2004 Aug 15;70(4):735-740.
  3. Johnson, JD; Cocker, K; Chang, E (1 October 2015). “Infantile Colic: Recognition and Treatment”American Family Physician92 (7): 577–82. PMID 26447441Archived from the original on 26 August 2017. Retrieved 22 July 2017.
  4. Iacovou, M; Ralston, RA; Muir, J; Walker, KZ; Truby, H (August 2012). “Dietary management of infantile colic: a systematic review”. Maternal and Child Health Journal16 (6): 1319–31. doi:10.1007/s10995-011-0842-5PMID 21710185S2CID 8404014
  5. Woolridge MW, Fisher C. Colic, “overfeeding”, and symptoms of lactose malabsorption in the breast-fed baby: a possible artifact of feed management? Lancet. 1988 Aug 13;2(8607):382-4. doi: 10.1016/s0140-6736(88)92847-4. PMID: 2899785.

৬-২৩ মাস শিশুদের পুষ্টিকর ঘরের তৈরি খাবারের রেসিপিসমূহের (৩২) লিংক


৬ মাস বয়সের পর থেকে শিশুকে কেন মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরের তৈরি খাবার খাওয়ানো শুরু করতে করতে হবে। – YouTube

শিশুর পূর্ণ ৬ মাস বয়সের পর থেকে বাড়তি খাবার হিসেবে কি কি দেওয়া যেতে পারে? – YouTube
৬ মাস বয়সী শিশুকে কি পরিমাণ বাড়তি খাবার খাওয়ানো উচিত এবং শিশু কেন খেতে চায়না। – YouTube
৬ মাস বয়সের পর থেকে শিশুকে কেন মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরের তৈরি খাবার খাওয়ানো শুরু করতে করতে হবে। – YouTube
শিশুর খাবারের রুচি কমে যাওয়ার কারণ সমূহ? – YouTube
শিশুকে গুড়া দুধ খাওয়ানোর ক্ষতিকর দিক কি? – YouTube
গুড়া দুধের অপকারিতা Facebook
শিশু ফল খেতে না চাইলে করণীয় কি? – YouTube
বাসায় তৈরি সেরিলাক শিশুর জন্য কতটা পুষ্টিকর? – YouTube
Recipe no:
1:৬ মাস শিশুর পুষ্টিকর রেসিপি-সবজি খিচুড়ি – YouTube

2. “ডিমের খিচুড়ি” ৬-২৩ মাস বয়সের শিশুর একটি পুষ্টিকর খাবার – YouTube
3. মুরগীর মাংসের খিচুড়ি, ১-২ বছর বয়সী শিশুদের হাড়ের ক্ষয় রোধ করে ও হাড়কে মজবুত করে – YouTube
4. :শিশুর চোখ ভাল রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে মজাদার মিষ্টি কুমড়ার স্যুপ খাওয়ান!! – YouTube
5. ৯ মাস শিশুদের পুষ্টিকর খাবারের রেসিপি কাচকি মাছের চপ | Small Fish || Baby Recipe for 6 Months – YouTube
6. “”পাউরুটির টোষ্ট”” ৯-২৩ মাস বয়সের শিশুর পুষ্টিকর রেসিপি – YouTube
7. “সবজি রোল” ১২ -২৩ মাস বয়সের শিশুর পুষ্টিকর রেসিপি – YouTube
8. সবজি মিশ্রিত পিঠা। ৯-২৩ মাস বয়সের শিশুর পুষ্টিকর রেসিপি – YouTube
9. ৬ মাস বয়সী শিশুর ডিমের সুজি – YouTube
10. ”পুষ্টিগুড়া” ৬-২৩ মাস বয়সের শিশুর পুষ্টিকর রেসিপি – YouTube
11. টমেটোর স্যুপ ০৯-২৩ মাস বা তার বেশী বয়সী শিশুদের জন্য পুষ্টিকর খাবার – YouTube

12. শিশুর শরীরে শক্তি ও আমিষের চাহিদা মিটাতে সুজির মালপোয়া ৯ -২৩ মাস বয়সের শিশুর অন্যতম রেসিপি – YouTube

13. ৯ মাসের শিশুদের পুষ্টিকর রেসিপি- পেঁপেঁর হালুয়া Watch | Facebook 

14.  শিশুদের পুষ্টিকর রেসিপি- মাছের কাটলেট  Facebook

15.গাজরের লাড্ডু” ৯-২৩ মাস বয়সের শিশুর মিষ্টি জাতীয় একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার।Facebook
16. ৯ মাস বয়সী শিশুর সয়া চপhttps://www.facebook.com/Breast.Feeding.Foundation/videos/248581336795365/

17. “সবজি-মাছের কারী” ১ বছর বা তার বেশী বয়সের শিশুর একটি পুষ্টিকর খাবার – YouTube
18. ৭মাস বয়সী শিশুদের কি ধরণের খাবার এবং কতবার দিতে হবে। – YouTube
19. সবজি মিশ্রিত পিঠা। ৯-২৩ মাস বয়সের শিশুর পুষ্টিকর রেসিপি – YouTube
20. ৯ মাস শিশুর পুষ্টিকর রেসিপি – চিড়ার পোলাও – YouTube
21. মুরগীর মাংসের চপ, ৯-২৩ মাস বয়সী শিশুর ওজন বৃদ্ধির জন্য মুরগীর মাংসের চপ একটি অন্যতম পুষ্টিকর রেসিপ – YouTube
22. ৮ থেকে ২৩ মাস শিশুদের পুষ্টিকর রেসিপি- মাছের কাটলেট || Fish Cutlet for Baby – YouTube

23. সবজি চপ ১ বছর বা তার বেশী বয়সের শিশুদের রেসিপি  Facebook

25. ১২ মাস থেকে ৫ বছর শিশুর জন্য পুষ্টিকর- সবজি অমলেট । Facebook

26. ১২ মাস থেকে ২৩ মাস শিশুদের – সুজির হালুয়া। Facebook

27. ১ বছর থেকে ৫ বছর শিশুর পুষ্টিকর রেসিপি – “মিষ্টি কুমড়া ও গুড় পায়েস” Facebook

28. ১২ মাস থেকে ২৩ মাস শিশুদের – সুজির হালুয়াFacebook
29. ৮ মাস থেকে ২৩ মাস শিশুদের পুষ্টিকর রেসিপি- মুরগীর মাংসের খিচুড়ি।Facebook

30. ১ বছর শিশুর পুষ্টিকর রেসিপি- কলিজা চপ Facebook

31.১ বছর শিশুদের পুষ্টিকর রেসিপি- পায়েস Facebook

32. ১ বছরের শিশুদের পুষ্টির খাবারের রেসিপি-ফলের পায়েস Facebook

মায়ের দুধ দেওয়ার সময় মা ও শিশুর অবস্থান ও সংস্থাপন এবং মায়ের দুধ গেলে বের করা

মায়ের দুধ তৈরি হওয়ার গঠনতন্ত্র

পর্যাপ্ত পরিমাণে মায়ের দুধ তৈরি নির্ভর করে:

 

  • মায়ের মানসিক অবস্থার উপর
  • মায়ের দেহে হরমোনের পরিমাণের উপর
  • যথেষ্ট পরিমাণে স্তন খালি হওয়ার উপর

মায়ের বুকের দুধ তৈরির প্রক্রিয়াঃ

অক্সিটোসিন এর কাজ:

  • অক্সিটোসিন মায়ের গর্ভাশয়কে সংকুচিত করে। এটা মায়ের রক্তপাত কমিয়ে দেয়।
  • মায়ের চিন্তা ভাবনা ও অনুভ‚তি অক্সিটোসিন রিফ্লেক্সকে প্রভাবিত করতে পারে। মায়ের অনুভ‚তি ও আত্ববিশ্বাস অক্সিটোসিন রিফ্লেক্সকে উদ্দীপ্ত করে তার দুধ নিঃসরনে সাহায্য করে।

শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর সঠিক অবস্থান ও সংস্থাপন

শিশুকে দুধ খাওয়ানোর সময় মায়ের অবস্থান:
১. মা কে আরামদায়কভাবে বসতে হবে।
২. প্রয়োজনে পিঠে অথবা কোলের উপর বালিশ দিয়ে সোজা হয়ে হেলান দিয়ে বসবেন।
৩. মাকে চিন্তামুক্ত থাকতে হবে।

অবস্থান(পজিশন): অবস্থান বলতে শিশুকে দুধ খাওয়ানোর সময় মা ও শিশুর আরামদায়কভাবে বসা বা শোয়াকে বোঝানো হয়।

শিশুকে দুধ খাওয়ানোর সময় শিশুর অবস্থান (৪ টি মূল তথ্য):
১. শিশুর মাথা মায়ের হাতের কনুই এ এবং পাছা (Buttock) মায়ের হাতের তালুতে থাকবে।
২. শিশুর মাথা, ঘাড় এবং শরীর একই সরল রেখায় থাকবে এবং মা শিশুর সমস্ত শরীর ধরে থাকবে।
৩. শিশুর পেট মায়ের পেটের সাথে লেগে থাকবে।
৪. দুধ খাওয়ানোর সময় শিশুর মুখ মায়ের স্তনের দিকে ঘোরানো থাকবে।

Different breastfeeding positions

সংস্থাপন: সংস্থাপন বলতে মায়ের স্তনে শিশুর মুখ কিভাবে লেগে থাকলে শিশু দুধ খেতে পারবে তা বোঝায়।

মা ও শিশুর সঠিক সংস্থাপনের ৪ টি মূল তথ্য
১. শিশুর মুখ বড় করে হা করা থাকবে।
২. স্তনের উপরের কালো অংশ নিচের অংশের চেয়ে বেশী দেখা যাবে।
৩. শিশুর থুতনি মায়ের স্তনে লেগে থাকবে।
৪. নিচের ঠোঁট বাইরের দিকে উল্টানো থাকবে।

চিত্রটিতে শিশু সঠিকভাবে মায়ের স্তনে লেগে আছে
চিত্রটিতে শিশু সঠিকভাবে মায়ের স্তনে লাগেনি

 

জমজ শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর বিভিন্ন পদ্ধতি:

Breastfeeding positions for Twin babies
Breastfeeding positions for C-section mother, heart problem baby, cleft lip & cleft palate baby

শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর বিভিন্ন অবস্থানের ব্যবহার

১. (cradle) পজিশনে সুস্থ ও স্বাভাবিক ওজনের শিশুরা দুধ পান করবে
২. Side lying পজিশনে সুস্থ ও স্বাভাবিক ওজনের শিশুরা দুধ পান করবে, সিজারিয়ান মাও এই পজিশনে খাওয়াতে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন ।
৩. (Cross cradle hold) পজিশনে-
– স্বল্প ওজনের শিশুরা
– অসুস্থ শিশু
– দূর্বল শিশু
– নাকে স্যালাইন দেয়া হয়েছে এমন শিশু
– স্নায়বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ শিশু
– মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত শিশু
– বড় স্তন অথবা বড় স্তন বোঁটা সম্বলিত মায়েরা সহজে দুধ পান করাতে পারে
– মায়ের স্তনের বোঁটা ফাঁটা বা ঘাঁ হলে মায়েরা সহজে দুধ পান করাতে পারে
৪.Modified Cross cradle hold ও ড্যানসার হোল্ড পজিশনে স্নায়বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ শিশু , মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত শিশু
মায়েরা সহজে দুধ পান করাতে পারে
৫. Football hold,অস্ট্রেলিয়ান হোল্ড ,পজিশনে ঠোঁট কাটা ও তালু কাটা,হার্টের সমস্যাযুক্ত শিশুদের মায়েরা সহজে দুধ পান করাতে পারে
৬. Football hold, Inverted side lyingপজিশনে সিজার করা মায়েরা শিশুদের সহজে দুধ পান করাতে পারে ।

মায়ের একদিকের স্তনের দুধ খাওয়া শেষ হলে অন্যদিকের স্তন শিশুকে প্রদানের গুরুত্ব :

মা শিশুকে একবারে অনেকক্ষণ (শিশু যতক্ষণ চায়) এক পাশের স্তন খাওয়াবেন তাহলে শিশু মায়ের দুধের প্রথমের পাতলা দুধ (Fore milk) ও পরের ঘন দুধও (Hind milk) পাবে, যেটা শিশুর শরীরে পুষ্টি ও শক্তি যোগায়। শিশুকে পরিতৃপ্ত রাখে ও শিশুর ওজন বাড়ায়।

একদিকের স্তনের দুধ খাওয়া শেষ হলে অন্যদিকের স্তন শিশুকে প্রদান করতে হবে। ক্ষুধা থাকলে শিশু হা করবে এবং দুধ খাবে, না হলে পরবর্তী খাবারের সময় অন্যদিকের স্তন থেকে খাওয়ানো শুরু করতে হবে।

মায়ের দুধের প্রথমের পাতলা দুধ (Fore milk) ও পরের ঘন দুধ (Hind milk)

ব্রেস্টফিডিংপিলোর/Nursing pillow এর ব্যবহার:

১. মাতৃদুগ্ধদানের বিশেষ বালিশ বা Breastfeeding Pillow ব্যাবহার করে মা সহজেই তার শিশুকে ভালভাবে এটাচমেন্ট ও পজিশন বা অবস্থান সংস্থাপন ঠিক করে শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়াতে পারে ।

২. জমজ শিশুদের সহজেই এই বালিশ ব্যাবহার করে একইসাথে মা সহজেই দুধ খাওয়াতে পারে ।

৩. বিভিন্ন ধরনের ব্রেস্টফিডিং পজিশন যেমন:- ক্রেডেল, ক্রস ক্রেডেল, ফুটবল ইত্যাদির মাধ্যমে শিশুকে দুধপান সহজ হয় ।

Breastfeeding Pillow কিনতে ও বিভিন্ন কোর্স করতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন-

Breastfeeding Pillow – Bangladesh Breastfeeding Foundation (bbf.org.bd)

 

ট্রেনিং কোর্স নংঃ ৩ IYCF (Infant and young child feeding training) (স্বাস্থ্যপেশাজীবীদের জন্য) – Bangladesh Breastfeeding Foundation (bbf.org.bd)

Pregnancy Pillow – Bangladesh Breastfeeding Foundation (bbf.org.bd)

কোর্স নং-২: ৬-২৪ মাস বয়সী শিশুদের ঘরের তৈরী বাড়তি খাবার বিষয়ক প্রাথমিক কোর্স – Bangladesh Breastfeeding Foundation (bbf.org.bd)

ট্রেনিং কোর্স নংঃ ১ শিশুকে সফলভাবে মায়ের দুধ খাওয়াতে করণীয় বিষয়ক প্রাথমিক কোর্স – Bangladesh Breastfeeding Foundation (bbf.org.bd)

 মায়ের দুধ চেপে/গেলে বের করে রাখার প্রয়োজনীয়তা ও পদ্ধতি

প্রথমে দুই হাত ও ১টি মুখওয়ালা বাটি বা কাপ সাবান দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

স্তনের উপরের দিকে বৃদ্ধা আঙ্গুল ও নিচের কালো অংশের বাইরে চার আঙ্গুল রাখতে হবে।
এবার স্তনের কালো অংশের উপর চাপ দিয়ে বোঁটার দিকে আনতে হবে, কোন অবস্থায় বোঁটায় চাপ দেওয়া যাবে না। এভাবে স্তনের কালো অংশের চারদিকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে চাপ দিয়ে দুধ গালতে হবে।

Hand expression of breastmilk

মায়ের গেলে রাখা দুধ সংরক্ষণ:

গালানো দুধ –

১.ঘরের ভিতরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ৮ ঘন্টা

২. এবং নরমাল ফ্রিজে (৪ ডিগ্রি তাপে ) ২৪ ঘন্টা

৩. ডিপ ফ্রিজে ৬ মাস পর্যন্ত সংরক্ষন করা যায়

তবে ফ্রিজে সংরক্ষিত দুধ চুলায় তাপে নয়, গরম পানির মাঝে ফ্রিজে রাখা দুধের পাত্রটি রেখে তা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আনতে হবে। আগে গালানো দুধ আগে খাওয়াতে হবে। পরে গালানো দুধ পরে খাওয়াতে হবে) প্রয়োজন অনুসারে বোতলে নম্বর এবং তারিখ দিতে রাখতে হবে।

মায়ের গেলে রাখা (সংরক্ষিত) দুধ শিশুকে খাওয়ানোর পদ্ধতি:

শিশুকে একবার যতটুকু খাওয়ানো হবে ততটুকু দুধ চামচে (মেলামাইন বা সিরামিক) অথবা কাপে (মেলামাইন বা সিরামিক) নিতে হবে। কারন ষ্টীল বা প্লাষ্টিকের চামচের মাথা মসৃণ থাকেনা, ফলে শিশুর গাল/ঠোঁট কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে কোন অবস্থাতেই ফিডার বা বোতলে দেয়া যাবে না।

চামচ/কাপ হালকা করে শিশুর নীচের ঠোঁটে ধরতে হবে।
চামচ/ কাপটিকে অল্প একটু কাত করে ধরতে হবে যাতে অল্প একটু দুধ শিশুর ঠোঁটে লাগে।
শিশুটি ঠোঁটে চামচ/কাপের ছোঁয়া পেয়ে মুখ হা করবে এবং জিহবা দিয়ে মুখে দুধ নিতে থাকবে এবং অল্প অল্প করে চুষে খেয়ে ফেলবে।

মায়ের গেলে রাখা (সংরক্ষিত) দুধ শিশুকে খাওয়ানোর পদ্ধতি

 

স্নায়বিকভাবে বিকলঙ্গ শিশু ও স্নায়বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ শিশুদের মায়ের দুধ পানের উপকারিতা:

Pediatric neurological disorder & importance of breastfeeding

স্নায়বিকভাবে বিকলঙ্গ শিশু:

আমাদের কেন্দীয় স্নায়ুতত্র,মস্তিষ্ক,মেরুদন্ড এবংস্নায়ুর সমন্বয়ে গঠিত । স্নায়ুতত্র ইন্দ্রিয় এর মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য গ্রহণ করে ,তাকে নিয়ন্ত্রণ করে দেহের কার্যক্রম চালায় (সেচ্ছায় বা অনিচ্ছায় )।  

স্নায়বিকভাবে বিকলঙ্গ শিশুর স্নায়ুতত্র ক্ষতিগ্রস্থ । এ ধরনের সমস্যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে ,যেমন:অপরিণত শিশু, Cerebral palsy (মস্তিষ্ক সংক্রান্ত পক্ষাঘাত), Down Syndrome এবং আরও অনেক কারণে হতে পারে ।

Type of cerebral palsy
Types of cerebral palsy and areas of brain damage involved
Symptoms of down syndrome

স্নায়বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ শিশুদের মায়ের দুধ পানের উপকারিতা:

Down syndrome child

Down syndrome child

  • মায়ের দুধ চোষার সময় শিশুর চোয়াল ,মুখ একইতালে নড়াচড়া করতে থাকে; যা স্নায়বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ শিশুর ব্রেনের ক্ষতিগ্রস্থ অংশকে প্রভাবিত করে এবং অনেক বাচ্চা তার স্নায়বিক সমস্যা মায়ের দুধ চুষে খাওয়ার মাধ্যমে কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয় । 
  • শিশুকে শুধুমাত্র ৪ মাস মায়ের বুকের দুধ খাওয়ালে তার মাথার পরিধি তুলনামূলকভাবে বেশী বড় হয়,বিশেষ করে যারা  দূর্বল সামাজিক, দরিদ্র সম্প্রোদয়ে বেড়ে ওঠে ।  Head circumference (HC) ও মস্তিকের আয়তনের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে ;যা শিশু জন্মেরপরকালীন মস্তিষ্ক বৃদ্ধির পরিমাপক । মস্তিষ্ক বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে শিশুর দেরীতে মানসিক বিকাশ, Cerebral palsy (মস্তিষ্ক সংক্রান্ত পক্ষাঘাত),Poor school performance,কৈশরে স্মৃতিভ্রংশতার হার  কমানোর ক্ষেত্রে সম্পর্কযুক্ত । HC হওয়ার মূল কারণ অপুষ্টি । Donma and Donma পরীক্ষা করে দেখেছেন যে, HC (  মাথার পরিধি ) formula-fed  ও  mixed-fed নবজাতকের তুলনায় শুধুমাত্র ৬ মাস মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো নবজাতকের  (HC )মাথার পরিধি তুলনামূলকভাবে বেশী বড় হয়    ।      
  • মায়ের দুধ তার স্ব্যাস্থের জন্য ভাল ;যা তাকে পাকস্থলির জীবানু থেকে রক্ষা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ।
  • বাচ্চা মায়ের দুধ চোষার সাথে সাথে দুধের ফ্যাটি উপাদান‍গুলো স্নায়ুতন্তুকে সুরক্ষিত রেখে সৃষ্ট বৈদ্যূতিক সংকেত বাড়িয়ে দেয় । শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশের এই পরিবর্তন হতে থাকে দুধ পানের শুরু থেকে, প্রকৃতপক্ষে দুধ চোষা শুরুর পর থেকে ।
  • শিশুর মুখ এবং জিহ্বার মধ্যে চমৎকার সমন্বয় সৃষ্টি করে ;যা তাকে পরবর্তিতে স্পষ্ট কথা বলতে  সাহায্য করে ।
  •  মায়ের দুধ পান শিশুর  মাংসপেশী ও স্নায়ুতন্ত্রের মধ্যে ভাল সমন্বয় সৃষ্টিতে সাহায্য করে । মায়ের দুধ চোষার সময় চোয়াল ও মুখ নড়াচড়া করার যে প্রয়োজনীয়তা ,তা তাকে  এক্ষেত্রে সাহায্য করে ।এতে সে ভালভাবে হাঁটতে,হাত দিয়ে কাজ করতে,দেখতে ,শুনতে পারে ।
  • দুধ পানের সময় মা ও শিশুর খুব কাছাকাছি অবস্থান তাদের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে ।
  • মায়ের দুধ শিশুর হজম প্রক্রিয়াকে পরিপক্ক করতে সাহায্য করে । 

স্নায়বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ শিশুদের যেসব প্রতিবন্ধকতা থাকে:

স্নায়বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ শিশুরা দুরকম হয়,

  • হাইপোটনিক (has poor muscle tone)
  • হাইপারটনিক (has overactive muscle tone)Poor muscle tone, overactive muscle tone 

দুই ক্ষেত্রেই শিশুর দুধ চুষে খেতে সমস্যা হয় ।

হাইপোটনিক (has poor muscle tone):

Difficulty of breastfeeding of poor muscle tone baby

এসব শিশুর যেসব ধরনের প্রবণতা থাকে:

১.শিশু অনিয়মিতভাবে / এলোমেলোভাবে /দূর্বলভাবে দুধ চুষে খাওয়ার চেষ্টা করতে থাকে ।

২. ধনুকের মত করে শরীর বাঁকায় ।

৩.উদ্দীপিত করলে খুব বেশী প্রতিক্রিয়াশীল হয় ।

৪. খুব বেশী Rooting (নবজাতকের গালের একপাশে আটকে রাখলে মাথা সেদিকে ঘুরায় )। অথ্যাৎ বারবার মাথা এদিক –ওদিক ফেরায় । 

৫. যখন স্তনের বোঁটা বা কিছু মুখে দেয়া হয় ,কামড় দেয়(tonic bite reflex)

৬. দুধ চোষা, খাওয়া এবং গেলা সবক্ষেত্রেই খুব দূর্বল ।

৭. দুধ চোষার সময় খুব তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়ে ;ফলে শেষের দিকের দুধ (বেশী ক্যালরী সমৃদ্ধ)চোষা অবধি ধরে রাখা যায় না 

৮. একান্তই দুধ চুষতে না পারলে হাত দিয়ে গেলে বের করে চামচ -বাটিতে করে দিতে হবে । কোনভাবেই ফিডারে দুধ দেয়া যাবে না ;কারণ ফিডারের নিপলে বিসফেনল-এ নামক ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান রয়েছে ।

ব্রেষ্টফিডিং বিষয়ে ট্রেনিংপ্রাপ্ত এমন কারও সাহায্য নেয়া স্নায়বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ নবজাতকের মায়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।তারাই  এসমস্ত বাচ্চাদের প্রয়োজনীয় পেশাদার সহযোগীতা করতে পারবে । 

শিশুদের বিভিন্ন ধরনের Reflex:

স্নায়বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ শিশুদের মায়েরা যেভাবে দুধ খাওয়াবে :

 ধাপ ১ :

  ঘুম থেকে জাগানো: দুধ খাওয়ানোর সময় এধরনের শিশুদের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন ।এদের মধ্যে কিছু শিশু কান্নাকাটি করে না, খাওয়ার চাহিদা প্রকাশ করতে পারে না; বেশীরভাগ সময়ই ঘুমায় ।এক্ষেত্রে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলে তাকে কমপক্ষে ২৪ ঘন্টায় ৮-১২ বার দুধ চুষে খেতে সাহায্য করতে হবে ।অনেক সময় এধরনের বাচ্চা কখনও পুরোপুরি ঘুম থেকে জাগে না ।এক্ষেত্রে খেয়াল করতে হবে ;কখন বাচ্চাটি তার হাত নাড়ে অথবা মুখ নাড়ে, যদিওবা তার চোখ বন্ধ । স্নায়বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ শিশুদের এক্ষেত্রে ধরে নিতে হবে আধো ঘুম ,আধো জাগনা রয়েছে ;তখন সহজেই তাকে জাগানো সম্ভব ।এসময় কিছু কৌশল যেমন-পায়ের তলায় সুঁড়সুঁড়ি দিয়ে,থুতনির নীচে সুঁড়সুঁড়ি দিয়ে জাগানোর চেষ্টা করতে হবে ।তারপরও যদি না জাগে তবে ডায়পার বদলানোর মত খালি গা করে ;মায়ের ত্বকের সাথে বাচ্চার ত্বক স্পর্শ করালে জেগে উঠবে এবং দুধ পান করবে ।

ধাপ ২: মায়ের স্তনে সঠিক সংস্থাপন ও দুধ চোষানো চালিয়ে যাওয়া: 

মায়ের স্তন সঠিক সংস্থাপনের জন্য এধরনের শিশুরা সাধারণত মুখ বড় করে হা করে না ।তাই মা বা সাহায্যকারী হাত দিয়ে বাচ্চার মুখ   বড় করে হা করাবেন । এরা খুব অনিয়মিতভাবে /এলোমেলোভাবে দুধ চোষে ।অনেকসময় ২/৩ বার চোষার পর ঢোক গিলে, চোষা বন্ধ করে ঘুমিয়ে যায় ।মাকে খুব ধৈয্যের সাথে এধরনের বাচ্চাদের দুধ খাওয়াতে হবে ।বাচ্চাকে পুনরায় জাগানোর জন্য পায়ের তলায় সুড়সুড়ি দিয়ে,থুতনির নীচে সুঁড়সুঁড়ি দিলে দেখা যাবে পুনরায় দুধ চুষতে শুরু করেছে ।স্বাভাবিক বাচ্চাদের দুধ চুষে খেতে ২০/৩০ মিনিট লাগলেও এদের সমপরিমাণ খেতে ২ /৩ ঘন্টা লাগতে পারে ।এভাবে আস্তে আস্তে শিশুকে দুধ চুষে খেতে প্রভাবিত করতে হবে ;তবে বেশী চাপাচাপি করা যাবে না ।পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে,প্রথমবার এভাবে শিশুকে দুধ চুষে খেতে প্রভাবিত করতে বা দুধ চুষে খেতে যে সময় লাগে ;পরবর্তিতে ক্রমান্বয়ে তা কমতে থাকে।

ধাপ ৩: সঠিক অবস্থান(হাইপোটনিক(has poor muscle tone) এর বাচ্চাদের ক্ষেত্রে:

 খুব দূর্বলmuscle tone এর বাচ্চাদের মাথা ও নীচের অংশ একই লেভেলে থাকলে অথবা কাছাকাছি থাকলে তুলনামূলক ভাবে সহজে মায়ের দুধ চুষে খেতে পারে। তবে মায়ের কোলে অবশ্যই একটি বালিশ দিতে হবে বাচ্চার সাপোর্টের জন্য । 

Modified cradle hold

ধাপ ৪: যদি নবজাতক ধনুকের মত করে শরীর বাঁকায়

সেক্ষেত্রে এবং হাইপারটনিক (has over reactive muscle tone) বাচ্চাদের সঠিক অবস্থান ও লক্ষণীয় বিষয়সমূহ: 

যদি নবজাতক ধনুকের মত করে শরীর বাঁকানোর চেষ্টা করে,তবে তার নমনীয়তা/বক্রতা বজায় থাকে; এমনভাবে ধরতে হবে ;হাঁটু বাঁকা করে (Sitting position)এবং মেরুদন্ড বৃত্তাকার করে । এজন্য বাচ্চাটিকে কম্বল/কাপড় দিয়ে জড়িয়ে নিলে তার নমনীয়তা/বক্রতা বজায় থাকে ।

Hypertonic babies right breastfeeding positionj

ধাপ ৫: একটি কাপড় ,মা পট্টির মত তার গলায় ঝুলিয়ে বেঁধে নিয়ে তাতে বাচ্চাকে শুইয়ে দিলে poor muscle tone এর বাচ্চার নমনীয়তা/বক্রতা বজায় থাকে । এতে মায়ের হাত খালি থাকে ;যা বাচ্চার থুতনি এবং চোয়াল ধরে রাখতে ব্যবহার করতে পারে । Poor muscle tone এর বাচ্চার থুতনি এবং চোয়াল ধরে রাখলে তার জন্য দুধ চোষা সহজ হয় ।   

Breastfeeding position for poor tone muscle tone baby

ধাপ ৬: Dancer hand position:  

Dancer-hand position

Dancer hand position -এ আলতোভাবে গালে চাপ দিয়ে ধরার ফলে বাচ্চার মুখকে সাপোর্ট পায়। এই পজিশন সাধারণত; অপরিণত শিশু,খুব দূর্বলভাবে চোষে এমন শিশু অথবা পেশীসংক্রান্ত সমস্যা অথবা স্নায়বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ নবজাতকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য । এতে  নবজাতকের চোয়ালের স্বাভাবিক নড়াচড়া চলে না(Danner & Cerutti,1984) । মা বাচ্চার থুতনি ধরে রাখার কারণে ,বাচ্চার জিহ্বা খুব ভালভাবে আটকে থাকে । পুরো চোয়ালই স্তনের সাথে ধরে রাখা হয় ।স্তন U –shape এ ধরতে হবে,২টি আঙ্গুল দিয়ে বাচ্চার থুতনি ,৩ টি আঙ্গুল দিয়ে মায়ের স্তন ধরতে হবে । বৃদ্ধা ও তর্জনী আঙ্গুলি দিয়ে বাচ্চার দুইপাশের গাল ধরে রাখা হয় ;এতে ভিতরের দিকে আস্তে চাপ দিতে পারে ;ফলে মুখ গহ্বরের পৃষ্ঠ ওবোঁটার সংস্পর্শ হয় । এটি বাচ্চাকে বোঁটা ও এরিওলার  মধ্যে মাড়ি দিয়ে চাপ দিতে সাহায্য করে ।  অপরিণত শিশুর মুখ গহ্বরের পৃষ্ঠের ফাঁকা অংশকে পূরণ করে দেয় ।

স্নায়বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ বাচ্চা ভালভাবে দুধ পাচ্ছে কিনা কিভাবে জানবো  এবং ভালভাবে দুধ না পেলে কি করতে হবে ?

  • ২৪ ঘন্টায় ৮-১২ বার দুধ খাওয়াতে হবে ,তবে অবশ্যই রাতে কমপক্ষে ৩ বার খাওয়াতে হবে ।
  • দিনে ও রাতে কমপক্ষে ৬বার বা বেশী প্রস্রাব করবে ।
  • মাসে ৫০০ গ্রাম  করে ওজন বাড়বে ।
  • ভাল ঘুমাবে ।
  • যদি বাচ্চা একইতালে স্তন চুষে দুধ খেতে না পারে তবে মা রকিং চেয়ারে দুলতে দুলতে বাচ্চাকে দুধ খাওয়ালে স্তন চোষা নিয়মিত হয় ।তবে অবশ্যই তার থুতনি ধরে রাখতে হবে ।
  • যেসব বাচ্চা সামান্য শব্দেই বেশী প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে ওঠে;তাদেরকে খুবই শান্ত ,নিরিবিলি পরিবেশে  দুধ খাওয়াতে হবে । বাচ্চার মনোযোগ আকর্ষণের জন্য মা গলায় রংবেরংয়ের মালা,কার্টুন জাতীয় কিছু পড়তে পারে ;যা বাচ্চাকে সময় নিয়ে দুধ খেতে সাহায্য করে ।
  • মা নিজের যত্ন নিবে।বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতে মাকে প্রচুর সময় দিতে হবে । এক্ষেত্রে সময় নিয়ে দুধ খাওয়ানোর অভ্যাস করতে হবে মাকে ।
  • দুধ খাওয়ানো শুরুর আগে মা আরামদায়ক জায়গায় বসবেন । একটা বিশেষ জায়গা বেছে নিবেন, যেখানে মা জানালা দিয়ে বাইরে দেখতে পারেন । প্রতিবার  দুধ খাওয়ানোর সময় মা বাচ্চার সাথে গল্প করতে থাকবেন,আদর করবেন ,এতে মনোযোগ দিয়ে দুধ খাবে ।

হাইপারটনিক (has over reactive muscle tone) বাচ্চাদের ক্ষেত্রে  লক্ষণীয় বিষয়সমূহ:

১.উজ্জ্বল আলোতেবাচ্চার চোখ ঢেকে রাখতে হবে ।

২.কোন শব্দ না করে চুপচাপ বসতে হবে ।

৩.বাইরের কোন শব্দ না আসে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে 

.বাচ্চার সাথে খুব নরম গলায় কথা বলতে হবে ।

. বাচ্চার অবস্থান বদলালে খুব ধীরে করতে হবে ।

৬. কম্বল/কাপড় দিয়ে জড়িয়ে নিলে তার নমনীয়তা/বক্রতা বজায় রাখতে হবে ।

৭. বাচ্চাকে দোলাতে চাইলে খুব ধীরে ধীরে দোলাতে হবে ।

References:

  1. Children’s Hospitals and Clinics of Minnesotastudy,PROVIDENCE, R.I. [Brown University] — a new study by researchers from Brown University finds more evidence that breastfeeding is good for babies’ brains 
  2. Breastfeeding course through Childbirth International on the physiology of breastfeeding / health problems / pediatric neurological disorders.
  3. Haroldo da Silva Ferreira.Antonio farnando Silva Xavier Junior.Monika Lopes de Assuncao.Effect of Breastfeeding on Head Circumference of Children from Impoverished Communities.BreastfeedMed 2013 Jun;8(3):294-301
  4.  Bartholomeusz HH. Courchesne E. Karns CM. Relationship between head circumference and brain volume in healthy normal toddlers, children and adults. Neuropediatrics. 2002;33:239–241. [PubMed]
  5. Reference: Breastfeeding course through Childbirth International on the physiology of breastfeeding / health problems / pediatric neurological disorders.